সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫ - ১৭:৩৪
যুরার (যুক্তরাজ্য) নৌবাহিনীর একটি এফ-৩৫বি জেট যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য জাপানে জরুরি অবতরণ

অত্যাধুনিক অত্যন্ত দামী ও ব্যয়বহুল মার্কিন নির্মিত এই যুদ্ধবিমান (F-35) কেন যান্ত্রিক ত্রুটি ও  গোলযোগের শিকার হচ্ছে উড্ডয়ন রত অবস্থায়?

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, যুরার (যুক্তরাজ্য) নৌবাহিনীর একটি এফ-৩৫বি জেট যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য জাপানে জরুরি অবতরণ করেছে।
এ খবর নিয়ে কিছু কথা:
এখন প্রশ্ন হলো: অত্যাধুনিক অত্যন্ত দামী ও ব্যয়বহুল মার্কিন নির্মিত এই যুদ্ধবিমান (F-35) কেন যান্ত্রিক ত্রুটি ও  গোলযোগের শিকার হচ্ছে উড্ডয়ন রত অবস্থায়?

এফ-৩৫বি জেট যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য জাপানে জরুরি অবতরণ

এমন মারাত্মক যান্ত্রিক ত্রুটি ও গোলযোগের শিকার এই যুদ্ধবিমান হতে থাকলে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এ যুদ্ধ বিমান সহ অন্যান্য অস্ত্রের মার্কেট হারাবে।
আর এ ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ও গোলযোগ থেকে প্রমাণিত হয় যে মার্কিন অস্ত্র-সস্ত্রের যত মান,খ্যাতি ও সুনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা প্রচার করে থাকে কার্যত: ঠিক ততটা নয়। যতটা নয় তার চেয়ে অনেক বেশি প্রচার করে থাকে পশ্চিমারা নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে।
আর দেশে দেশে বিশেষ করে আরব দেশগুলোয় পাশ্চাত্য পন্থী ও পাশ্চাত্য পূজারীরা তো পশ্চিমা অস্ত্রের গুণগ্রাহী ও ক্রেতা এবং এরাই পশ্চিমাদের অস্ত্র বাজার ও তেজারত (বাণিজ্য) টিকিয়ে রেখেছে।
আর পশ্চিমাদের এসব অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতার ব্যাপক প্রচার চালিয়ে সবার ভিতরে ওদের সমরাস্ত্রের শক্তি,সক্ষমতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে ভয়ভীতি ও ত্রাসের সঞ্চার করা হচ্ছে বিশ্ববাসীর মনে যাতে তারা সবাই পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কাছে মাথানত ও আত্মসমর্পিত থাকে এবং পশ্চিমাদের আধিপত্য মেনে নেয়। আর এই সুবাদে পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বিশ্ববাসীর সম্পদ লুণ্ঠন অব্যাহত রাখতে পারে।
আসলে মাযুরা ও পশ্চিমারা সবাই হচ্ছে কাগুজে বাঘ।
একটি প্রবাদ আছে: মেশক্ অনাস্থ্ কে খোদ বেবুয়াদ্ না অন্ কে আত্থর বেগুয়াদ্ ( মেশক [মৃগনাভি কস্তুরী] নিজেই নিজের সুগন্ধি ও সুঘ্রাণ প্রকাশ করে;আত্তার [সুগন্ধি বা আতর বিক্রেতা] যা মেশক বলে প্রচার তা প্রকৃত মেশক নয়।)। 
مشک آن است که خود ببوید نه آنکه عطار بگوید
আর পশ্চিমারা একতরফাভাবে নিজেদের অস্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য প্রচার করে যাচ্ছে যা হচ্ছে আতর বিক্রেতার (আত্তার) মুখের কথায় যেমন কোনো জিনিস আতর ও মেশক [মৃগনাভি কস্তুরী] বলে গণ্য হয় না ঠিক তেমন।আতর বা মৃগনাভি ও কস্তুরীর সুভাস ও সুঘ্রাণই জানান দেয় যে তা আসলেই আতর বা মৃগনাভি [কস্তুরী] এবং আত্তার ( আতর বিক্রেতা) নিজ আতর বা মেশকের [মৃগনাভি কস্তুরী]প্রশংসা করুক বা না করুক।
এখন পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সমরাস্ত্রের বিশ্ববাজার ও তেজারত (বাণিজ্য) পড়ে যাওয়ার সময় এসে গেছে।আর এ সব ঘটনা সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে।
পশ্চিমাদের সমরাস্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য বাস্তবে যতটা থাকুক না কেন এগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল যা কেনার সামর্থ্য গরীব দেশগুলোর নেই। গরীব দেশগুলো ইরান,চীন , রাশিয়া ও পাকিস্তানের অস্ত্র কিনতে পারে।আর ইরানী অস্ত্র তো সবচেয়ে সস্তা এবং যুদ্ধে কার্যকরও বটে। আর সস্তা অথচ কার্যকর অস্ত্র কিনে গরীব দেশগুলো বিশ্বগ্রাসী বৃহৎ পরাশক্তি সমূহের মোকাবেলায় নিজেদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বুহ্য গড়ে তুলতে এবং নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাও বাড়াতে পারে।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha